এই সন্ত্রাসীর আসল নাম ‘ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আল বাদরি আল কোরেশি আল সামারায়ি’। ১৯৭১ সালে সামেরায় জন্মগ্রহণ করেছে। তার উপনাম সমূহ হচ্ছে আবু বকর, আবু দোয়া, কোরেইশী, হোসাইনি এবং আমিরুল মোমিনিন। আল বাগদাদি নিজেকে হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর বংশধর হিসেবে মনে করে। তবে আমেরিকার ব্রুকিংস ইন্সটিটিউট দাবি করেছে সে ‘জাফরে কাজ্জাবে’র বংশধর।
আবু বকর বাগদাদি ইরাকের বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইসলামিক বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে তিকরিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে। আমেরিকার আক্রমণের পূর্বে বাগদাদ, ফাল্লুজা ও সামারা’র বেশ কয়েকটি মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োজিত ছিল।
২০০৩ সালে ‘জয়শ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত’ নামক একটি ছোট সামরিক দল নির্মাণ করে, যাতে আমেরিকার সৈন্যরা ইরাকে যুদ্ধ করতে পারে।
২০০৪ সালে আমেরিকান সৈন্যরা তাকে গ্রেফতার করে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় ‘বুকা’ কারাগারে স্থানান্তর করে। কারাগারে যাওয়া পর আল বাগদাদি চরমপন্থির দিকে ধাবিত হয়। কারণ বুকা কারাগারে আল কায়দার অনেক নেতা বন্দি ছিল। সেখান থেকে ২০০৬ সালে মুক্তি পাই।
আল বাগদাদি ২০০৬ সালে ‘ইরাকের ইসলামিক সরকারে’র সাথে যোগদান করে এবং বিভিন্ন সময়ে আল আনবারের ধর্মীয় আমির, সামারার ধর্মীয় আমির, ফাল্লুজার গভর্নর, দিয়ালার গভর্নর, ওলাতার গভর্নর এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছে।
এছাড়াও আবু বকর বাগদাদি, আবু ওমর আল বাগদাদির ডান হাত এবং সংস্থার নেতা ছিল। ২০১০ সালে আবু ওমর আল বাগদাদি মারা যাওয়ার পর সংস্থার প্রধানের দায়িত্ব পাল করে।
২০১১ সালে আমেরিকা অফিসিয়াল ভাবে সন্ত্রাসীদের তালিকায় আল বাগদাদির নাম যোগ করে এবং মোস্ট ওয়ান্টেডের অন্তর্ভুক্ত করে। সে সময় আবু বকর আল বাগদাদিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে।
আল বাগদাদি ২০১৩ সালে নিজের সিদ্ধান্তকে ঘোষণা করে, অর্থাৎ ‘ইরাকের ইসলামি সরকার’ এবং সিরিয়ার ‘জাবহাত আল নুসরা’ তথা ‘ইরাক ও শামের ইসলামি সরকার’ ঘোষণা করে।
২০১৪ সালে নিজের সংস্থার নাম পালটিয়ে স্বঘোষিত ‘ইসলামি সরকারে’র ঘোষণা করে।