IQNA

আশুরার মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হযরত জয়নাব (আ.)

23:29 - April 23, 2016
2
সংবাদ: 2600658
মহীয়সী হযরত জয়নাব (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.), আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) এবং খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যাহরার (আ.) তত্বাবধানে প্রতিপালিত হয়েছেন।

হযরত জয়নাব (আ.) রাসূলের (সা.) পবিত্র আহলে বাইতের (আ.) অন্যতম সদস্যা। যিনি রাসূলুল্লাহ (সা.), আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) এবং খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যাহরার (আ.) আদর্শের সৈনিক। তিনি পাক পাঞ্জাতনের সংস্পর্শে ও সরাসরি তাদের তত্বাবধানে প্রতিপালিত হয়েছেন। কাজেই তার ব্যক্তিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বও হবে উক্ত মহামানবদের ন্যায়।

১৫ই রজব কারবালার বাগ্মী নারী হযরত জয়নাবের (আ.) শোকাবহ ওফাত দিবস। তাই এ দিনকে সামনে রেখে শাবিস্তান প্রতিবেদক বিশিষ্ট ইসলামী গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হুসাইন শাহরুদির সাথে আলোচনা করেছে। সে আলোচনার সারাংশ এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।

মহীয়সী হযরত জয়নাব (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.), আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) এবং খাতুনে জান্নাত ফাতেমা যাহরার (আ.) পবিত্র ও কষ্টকর জীবন খুব কাছ থেকেই অবলোকন করেছেন। তিনি তাদের নিকট থেকে শিক্ষা নিয়েছেন যে, কিভাবে দু:খ, দূর্দশা ও প্রতিকুলতার মোকাবেলা করতে হয়। তাই তো আশুরার ন্যায় বেদনার্ত ও মর্মান্তিক ঘটনার পর পাপিষ্ট ইয়াজিদ যখন তাকে উপহাস করছিল; তখন তিনি অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে বলেছিলেন যে, 'কল্যাণ ছাড়া কিছুই দেখিনি'। আর তাই তার এ উক্তিটি প্রমাণ করে তিনি কত পরহেজগার ও খোদামুখী ছিলেন।

হযরত জয়নাব (আ.) এমনই ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন যে, আশুরার ভয়ানক রাত্রে ইমাম হুসাইন (আ.) তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন যে, হে বোন! তাহাজ্জুদের নামাযে আমাদের ভুল না।

৬১ হিজরীর মহররম মাসে পাপিষ্ট ইয়াজিদ ও তার দোসরদের উদ্দেশ্য ছিল ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার একনিষ্ঠ সাথীদের হত্যার মধ্যদিয়ে ইসলামকে ধ্বংস করবে। কিন্তু তাদের শাহাদতের পর আশুরার বিপ্লবকে ইয়াজিদি বাহিনীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সামনের দিকে নিয়ে যান। এবং তিনি ইমাম হুসাইনের (আ.) উদ্দেশ্য ও আদর্শকে এক মুহুর্তের জন্যও ভূ-লুন্ঠিত হতে দেন নি। তিনি ছিলেন কারবালার বার্তাবাহী এবং আশুরার বিপ্লবের পর এ বিপ্লবের বাণীকে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের নিকট পৌছে দিয়েছেন।

কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পর মহীয়সী হযরত জয়নাবের (আ.) লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল; নবী-রাসূল (আ.) ও মাসুম ইমামগণের (আ.) উদ্দেশ্যের ন্যায়। এ কারণে এ উদ্দেশ্যের পথে সব ধরনের অত্যাচার, নির্যাতন, শোক-দু:খ ও মুসিবাতকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছেন এবং এগুলোর মধ্যে তিনি স্বীয় উদ্দেশ্যের স্বার্থকতা ও আল্লাহর ইচ্ছাকে খুজে পেয়েছেন। তিনি কারবালার কোন মুসিবাতের সামনে নত হন নি এবং ক্রন্দন ও আহাজারি করে নিজের দু:খ-কষ্টের কথা প্রকাশ করেন নি। এমনকি তিনি আশুরার বিপ্লবে নিজের দু'পুত্রকে নি:সঙ্কোচে বিসর্জন দিয়েছেন; কিন্তু এক মুহুর্তের জন্য ভেঙ্গে পড়েন নি। তাই তো আশুরার মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার পরবর্তি ট্রাজেডির সামনে তিনি একমাত্র আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে বলেছেন, ''কল্যাণ ছাড়া কিছুই দেখিনি'।

ট্যাগ্সসমূহ: আশুরার ، আমিরুল
প্রকাশিত: 2
পর্যালোচনা করা হচ্ছে: 0
প্রকাশযোগ্য নয়: 0
gteuespn
0
0
20
isjgeerm
0
0
20
captcha