বার্তা সংস্থা ইকনা: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার মুসলমানেরা আযান ধ্বনি শোনার সাথে সাথে নামাজ আদায় করেন। তবে বিভিন্ন সময় নামাজ আদায়ের জন্য তাদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে সঠিক সময়ে মসজিদে পৌছাতে অনেক অসুবিধা হয়। আপর দিক থেকে কোন মুসলমান নামাজ ত্যাগ করতে চাই না।
বর্তমান সময় জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ধর্মীয় কাজ আদায়ের জন্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে সম্প্রতি এই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছে বিশেষজ্ঞগণ।
যানজট-পূর্ণ এবং জনাকীর্ণ এলাকাসমূহে এ ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য পবিত্র রমজান মাস থেকে ভ্রাম্যমাণ মসজিদের চালু করা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানে বিশেষ ডিজাইনে এই ভ্রাম্যমাণ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান ও স্টেডিয়ামের সামনে মুসল্লিদের সুবিধার্থে এসকল ভ্রাম্যমাণ মসজিদ নামাজের সময়ে উপস্থিত হয়।
মধ্যবয়সী কেরানী "সুটিকানু" ফ্রান্সের সংবাদ সংস্থার সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন: "আমি মসজিদে যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এখান থেকে মসজিদ বেশ দুরে। এমতাবস্থায় আমি এখানে ভ্রাম্যমাণ মসজিদ দেখতে পাই। আমি এই মসজিদে নামাজ আদায় করি। এখন আমি অতি দ্রুত আমর পরিবারের নিকট যেতে পারব।'
সবুজ ও সাদা রঙ্গের এ সকল পিকআপ ভ্যান বিশেষ ডিজাইনে মাধ্যমে শুধুমাত্র ইবাদতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানে ওযু করার স্থান, নামাজের স্থান, নামাজের জন্য নারীদের বিশেষ পোশাক প্রদান এবং পেশ ইমামের খুতবা বলার নির্দিষ্ট স্থান সহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
পূর্বে এই পরিকল্পনা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশের কেন্দ্রীয় শহর বান্দুং-এর ৫০টি স্থানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য মুসল্লিরা ব্যাপক স্বাগত জানিয়েছে। জাকার্তার বড় ভ্যান দেওয়ার কারণে এর ফল পর্বের তুলনায় আরো অধিক পাওয়া যাবে বলে ধারণ করছে কর্তৃপক্ষগণ।
বলাবাহুল্য, বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৮ লাখ মসজিদ রয়েছে। এগুলো দেশটির রাজধানী এবং বৃহৎ বৃহৎ শহরে রয়েছে।