আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরি পরিচালক ইসমাইল সিরাজ উদ্দিন বলেন: পবিত্র কাবার গিলাফের এই অংশটি তুরস্কে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি ইসলামি ঐতিহ্যের সবচেয়ে সুন্দর শিল্প; যা মিশরের সবচেয়ে দক্ষ তাঁতি কর্তৃক লাল এবং কালো রং ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন: বর্তমানে কাবা শরিফের পবিত্র গিলাফটি দর্শনার্থীদের পরিদর্শনের জন্য লাইব্রেরীতে প্রবেশ পথের সামনে রাখা হয়েছে। পরিদর্শন শেষ হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।
কাবা শরিফের পবিত্র গিলাফের অংশটি মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া লাইব্রেরিতে ইয়াশার হিলমী দান করেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: এই লাইব্রেরিতে পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ অনুদানের ঘটনাটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। গিলাফের এই অংশটি শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক শিল্প নয়; গিলাফের অংশের সাথে ধর্মীয় ঐতিহ্যও মিশ্রিত রয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত দর্শকগণ গিলাফের সাথে ছবি তুলেছেন।
বলাবাহুল্য, ৬০০ বছর পূর্ব থেকে পবিত্র কাবা ঘর, পর্দা দ্বারা আচ্ছাদিত রাখা হয়। তখন থেকেই কাবা ঘরের জন্য গিলাফ হাতে বোনা হতো। পিওর সিল্ক 50 বিভিন্ন টুকরা কাপড়ের মাধ্যমে গিলাফ প্রস্তুত করা হয়। কাপড়ের উপর সোনা ও রুপা দিয়ে আয়াত ও হাদিস লেখা হয়।
উল্লেখ্য, কাবা শরীফের গিলাফ একটি বস্ত্রখণ্ড যা দ্বারা কাবাকে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়। বর্তমানে গিলাফ কালো রেশমি কাপড় নির্মিত, যার ওপর স্বর্ণ দিয়ে লেখা থাকে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ", "আল্লাহু জাল্লে জালালুহু", "সুবহানাল্লাহু ওয়া বেহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম" এবং "ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান"। ১৪ মিটার দীর্ঘ এবং ৯৫ সেমি প্রস্থ ৪১ খণ্ড বস্ত্রখণ্ড জোড়া দিয়ে গিলাফ তৈরি করা হয়। চার কোণায় সুরা ইখলাস স্বর্ণসূত্রে বৃত্তাকারে উৎকীর্ণ করা হয়। রেশমি কাপড়টির নিচে মোটা সাধারণ কাপড়ের লাইনিং থাকে। একটি গিলাফে ব্যবহৃত রেশমি কাপড়ের ওজন ৬৭০ কিলোগ্রাম এবং স্বর্ণের ওজন ১৫ কিলোগ্রাম। বর্তমানে এটি তৈরিতে ১৭ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল ব্যয় হয়।