IQNA

মাহদাভি পরিবারে লোভ-লালসার কোন স্থান নেই

20:01 - September 17, 2017
সংবাদ: 2603852
লোভ-লালসা হচ্ছে সৃষ্টির সেরা মনুষ্য চরিত্রের দুর্বলতম ও হীনতম বৈশিষ্ট্যের একটা। যার সাহায্যে সৃষ্টি হয় অন্যায় ও অবৈধ কাজের বিভিন্ন রাস্তা। অতএব আত্মার অবৈধ প্রবৃত্তির একটা বাস্তবরূপ লোভ-লালসা। যা মানুষের পারিবারিক জীবনে, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৃষ্টি করে নানা সমস্যা এবং নিরাপত্তাহীন অশান্তির অস্বস্তিকর পরিবেশ।
মাহদাভি পরিবারে লোভ-লালসার কোন স্থান নেই
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আপন সহোদের মধ্যে ধন-সম্পদ নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ, ভাই-বোনের সম্পর্ক নষ্ট, আত্মীয়-স্বজনের সম্পর্কে বিচ্ছেদ এবং পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে মামলা-মোকাদ্দমা এবং দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ায় মানবের লোভাতুর প্রকৃতি অন্যতম ভূমিকা পালন করে থাকে।

জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষই প্রবৃত্তির এই অদৃশ্য শক্তিশালী চাহিদার শিকার হয়। নাফস শয়তানই এই অবৈধ প্রবৃত্তিকে মনুষ্য চরিত্রে লালন করতে সাহায্য করে। তাই মানুষের মধ্যে অনেকেই অজ্ঞতাবশত এই প্রবৃত্তির দাসত্বে আত্মসমর্পণ করে।

কুফার লোকজন দুনিয়ার লোভে ও জীবনের মায়ায় ইমাম হুসাইনকে ছেড়ে ইয়াজিদের দলে যোগ দিয়েছিল। সুতরাং লোভই হচ্ছে সকল অন্যায়ের মূল।

ইমাম মাহদী হচ্ছেন, সব থেকে বেশী দানশীল, উদার, পরহেজগার, দুনিয়া ত্যাগী, সংযমী ইত্যাদি। আর আমরা যদি সেই মহান ইমামের সঠিক অনুসারী হতে চাই তাহলে আমাদের মধ্যেও সেই গুণ থাকতে হবে।

আর এজন্যই ইমাম হুসাইন(আ.) বলেছিলেন: «النَّاس عَبیدُ الدنیا؛ মানুষ হচ্ছে দুনিয়ার দাস, যখনই কোন বালামুসিবত তাদের উপর এসে পড়ে তারা ধর্মকে ত্যাগ করে দুনিয়ার পিছনে ছোটে।

সুতরাং মানুষের মন থেকে দুনিয়ার মহব্বত উপড়ে ফেলতে হবে এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে হবে। তাই যারা ইমাম হুসাইনের দলে ছিলেন তাদের মধ্যে দুনিয়ার প্রতি সামান্যতম লোভ-লালসা ছিল না। তারা বলেছিলেন: আমরা ইমাম হুসাইনের জন্য হাজারবার মরতে রাজি আছি, টুকরো টুকরো হতে রাজি আছি। ওহাবের মা তার সন্তানের কাটা মাথাকে ইয়াজিদের ষৈন্যদের দিকে ছুড়ে দিয়ে বলেন, আমরা যা আল্লাহর রাস্তায় দান করি তা আর ফেরত নেই না।

সুতরাং আমাদেরকে ইমাম মাহদীর প্রকৃত অনুসারী হতে হলে অবশ্যই দানশীল, আত্মত্যাগী হতে হবে এবং দুনিয়ার লোভ-লালসাকে অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। শাবিস্তান
captcha