IQNA

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

15:20 - November 19, 2017
সংবাদ: 2604351
মিয়ানমার সেনাবাহিনির নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সরেজমিন দেখতে গেছেন জাপান, জামার্নি, সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

বার্তা সংস্থা ইকনা: রবিবার সকালে ঢাকা থেকে ৩টি হেলিকপ্টারে করে তারা কক্সবাজার যান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তেজগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে ৩টি হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন তারা।

জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগট ওয়ালস্টার। তাদের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকো মঘেরিনিও আছেন। নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

কক্সবাজার পৌঁছে উখিয়া ও টেকনাফের বালুখালী, কুতুপালংসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। একইসঙ্গে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।

এর আগে ২২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান । এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি তারা ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর শিশুদের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সঙ্গে পরিদর্শকদল সময় কাটান।

ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরো ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি স্কট বাসবি, দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টম ভাজদা, পূর্ব-এশিয়া ও প্যাসিফিক বিষয়ক ব্যুরোর অফিস ডিরেক্টর প্যাট্রিসিয়া মাহোনি। এর আগে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ঢাকায় এসে পৌঁছান মার্কিন প্রতিনিধিদলটি। তারা ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে অবস্থান করেছিলেন।

এ সময় তারা মায়ানমারের রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আলোচনা করেন। একইসঙ্গে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন প্রতিনিধিদল।

মার্কিন প্রতিনিধিদলটি একইভাবে মিয়ানমার সফর করেন। এসময় মিয়ানমারে কূটনীতিক সম্প্রদায়, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ও এনজিও অংশীদারদের সঙ্গে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।

রাখাইনে তারা শর্তহীনভাবে ত্রাণ সংস্থা ও সংবাদকর্মীদের প্রবেশের অনুমতি চান। এছাড়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের যেন সসম্মানে ও নিরাপদে রাখাইনে প্রত্যাবাসন করতে পারে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

রোহিঙ্গা সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাইমন হেনশ বলেছিলেন, নিজ দেশে জাতিগত সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারকে চাপ অব্যাহত রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আরো চাপ সৃষ্টি করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশ এত বিপুলসংখ্যক বিপন্ন মানুষকে আশ্রয় দেয়ার সাহস দেখিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। যার কারণে বাংলাদেশ প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। রোহিঙ্গাদের এ সংকটকালে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আরটিএনএন
captcha