বার্তা সংস্থা ইকনা: ধর্মান্তরিত ওই অস্ট্রেলীয় নারীর নাম অলিভিয়া স্টেফানি হেন। ইরানে বসবাসের অভিজ্ঞতা এবং ইসলামি সংস্কৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাকে তিনি তার ইসলামের প্রতি আকর্ষণের একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক মানবিক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘ইসলামের প্রতি আমার আকর্ষণের আরো একটি কারণ হচ্ছে সত্যবাদিতা যা আল্লাহ আমাকে দান করেছেন।’
ধর্মান্তিত এই অস্ট্রেলীয় নারী তার ভবিষ্যতের পরিকল্পনার কথাও জানান। তিনি তার স্বদেশীয় বন্ধুদেরকে ইসলামের পথে আসার জন্য দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অলিভিয়া স্টেফানি বলেন, ‘আমি এখনো ইসলামকে ভালভাবে বুঝার জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি। আমি আশা করছি আমার অন্য মুসলিম বন্ধুদের সাহায্যে স্বর্গীয় এই ধর্ম সম্পর্কে ব্যাপক ও বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে পারব।’
তার ধর্মান্তরের সময় এবং স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ইরান সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন আমি শহিদ ইমাম হোসাইনের (আ.) শোকের দিন সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। আমি যখন ইরানে পৌঁছাই, তখন আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি- কারণ আমি এমন এক ব্যক্তির শোক দিবসে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছি যার সঙ্গে ইসলামের ঘনিষ্ঠ প্রভাব রয়েছে।’
আস্তান কুদস রাজ্জবীর নন-ইরানী তীর্থযাত্রীদের বিষয়ক পরিচালক সাঈদ মুহাম্মাদ জাওয়াদ হাশেমিনেজাদ জানান, ইসলামের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা মানুষের অনেক ঘটনাকে স্পষ্ট করেছে; যার কারণে মানুষ ইসলামের দিকে ঝুঁকছে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইরানে ভ্রমণকারীদের অধিকাংশই ইরান ও ইসলামের সঙ্গে পারস্পরিক পরিচিতি ছাড়াও তারা ইরানের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা প্রবাহ ছড়ানো হচ্ছে তার সত্যতা খুঁজে পায়। সত্য কখনো গোপন থাকে না।’
এখনো পর্যন্ত ২২টি দেশের ২২,০০০ হাজার লোক ইমাম রেজার (আ.) পবিত্র মাজারে গিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘সাইবারস্পেসের মাধ্যমে আমরা ধর্মান্তরিত এসব লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি এবং তাদের ধর্মীয় বিষয়বস্তু পাঠানোর মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে আরো জানতে তাদের সহায়তা করি।’ আরটিএনএন