IQNA

রাসূলের (সা.) উত্তম আচরণের অনুপম নমুনা

18:34 - November 19, 2017
সংবাদ: 2604356
জনৈক যুবক সদ্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছে। কিন্তু তখনও জাহেলিয়াতে যুগের অপকর্ম থেকে পুরোপুরি বিরত হতে পারি নি। তাই সে মদিনার বাহিরে যেয়ে মন্দ নারীর সাথে অপকর্মে লিপ্ত হয়। এ খবর রাসূলের (সা.) নিকট পৌঁছানোর পর তিনি কি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেটাই আমাদের আলোচ্য বিষয়।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সর্বকালের শ্রেষ্ঠ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) মানব জাতির মধ্যে সবচেয়ে উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তারই মহিমান্বিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ইসলামের প্রাথমিক যুগে আরবের কাফির ও মুশরিকরা দলে দলে ইসলামের সুশীতল পতাকাতলে সমবেত হত। আমরা এখানে রাসূলের (সা.) উত্তম আচরণের অন্যতম নমুনা তুলে ধরছি।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে জনৈক যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়। কিন্তু তখনও সে জাহেলিয়াতে যুগের অপকর্ম থেকে পুরোপুরি বিরত হতে পারি নি। তাই মদিনার বাহিরে যেয়ে সে অনেক সময় মন্দ নারীর সাথে অপকর্মে লিপ্ত হত। রাসূল (সা.) বিষয়টি বুঝতে পারলেন, তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন উক্ত যুবককে এ মন্দ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণ দিবেন।

একদা যুবকটি যখন শহরের বাহির হতে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার পর ফিরে আসছিল, তখন পথিমধ্যে রাসূলের (সা.) সাথে তার দেখা হয়। তিনি জিজ্ঞাসা করেন: হে যুবক কোথায় গিয়েছিলে? জবাবে সে বলল: হে রাসূল! আমার উট হারিয়ে গিয়েছিল, তাই উটটি খুঁজতে শহরের বাইরে গিয়েছিলাম। রাসূল (সা.) তাকে বললেন: আশা করি আগামীতে এভাবে প্রত্যন্ত এলাকাতে তোমার উট হারাবে না। যুবকটি রাসূলের (সা.) ইঙ্গিত বুঝতে পেরে লজ্জিত হল।

কিছু দিন পর আবার সাহাবিরা উক্ত যুবককে নিষিদ্ধ এলাকাতে ঘোরাফেরা করতে দেখল এবং এ খবর রাসূলকে (সা.) দেয়। ফলে পুনরায় রাসূল (সা.) উক্ত যুবককে পথে দেখতে পেলেন। এখন যুবকটি রাসূল দেখে ভীষণ লজ্জিত হল এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিল আর কখনও শহরের বাইরে যেয়ে অপকর্মে লিপ্ত হবে না।

এখানে শিক্ষণীয় বিষয় হল রাসূল (সা.) অত্যন্ত সম্মানসূচকভাবে উক্ত যুবককে মন্দ পথ থেকে বিরত রাখেন।
captcha