বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদী(আ.) নিজেই বলেছেন: «وَ لَوْ اَنَّ أشياعَنا وَ فَقَّهُمُ اللّه ُ لِطاعَتِهِ، عَلى اجْتِماعٍ مِنَ الْقُلُوبِ فى الْوَفاءِ بِالْعَهْدِ عَلَيْهِمْ، لَما تأخَرَّ عَنْهُمُ الْيُمْنُ بِلِقائنا، وَ لَتَعَجَّلَتْ لَهُمْ السَّعادَةُ بِمُشاهِدَتِنا، عَلى حقِّ الْمَعْرِفَةِ وَ صِدْقِها مِنْهُمْ بِنا، فَما يَحْبِسُنا عَنْهُمْ إلاّ ما يَتَّصِلُ بِنا مِمّا نُكْرِهُهُ؛»
আমাদের শিয়াদের অন্তরসমূহ যদি অঙ্গিকার পূর্ণ করার জন্য একতাবদ্ধ হত তাহলে তাদের সাথে আমার সাক্ষাত একদণ্ডও পিছত না। বরং তারা খুব শীঘ্রই আমাদেরকে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারত। একমাত্র তাদের গোনাহ ও অন্যায়সমূহই আমাদের থেকে তাদেরকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
হাদিসের ভাষা অনুযায়ী, যারা সর্বদা আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করার মাধ্যমে আমাদের কায়েমের আবির্ভাব ত্বরান্বিত হওয়ার ক্ষেত্র প্রস্তুত করে তারাই আমাদের প্রকৃত অনুসারী।
ইমাম আলী (আ.) ইমাম মাহদী (আ.)- এর সাহায্যকারীদের মধ্যে ঐক্য ও সহমর্মিতা সম্পর্কে বলেছেন: তারা প্রত্যেকেই ঐক্যবদ্ধ এবং আন্তরিক।
এই আন্তরিকতা এবং ঐক্যের কারণ হচ্ছে তাদের মধ্যে কোন স্বার্থপরতা ,অহংকার এবং ব্যক্তিগত চাহিদা নেই। তারা সঠিক আক্বীদা নিয়ে এক পতাকার নিচে একই উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে এবং এটাই শত্রুর বিরুদ্ধে তাদের বিজয়ের কারণ।
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: যখন আমাদের কায়েম কিয়াম করবেন ,সবার মন থেকে হিংসা ও বিদ্বেষ দূরীভূত হবে।
তখন হিংসা-বিদ্বেষের আর কোন অজুহাত থাকবে না। কেননা ,তখন সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং কারো অধিকার পয়মাল হবে না ,সকলেই বিবেকের সাথে চলবে ,কামনা-বাসনার সাথে নয়। সুতরাং হিংসা-বিদ্বেষের আর কোন পথই অবশিষ্ট থাকবে না। এভাবে প্রত্যেকেই আন্তরিক ও ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন-যাপন করবে এবং কুরআনী ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।