IQNA

আরবাইনের প্রাক্কালে কারবালায় বিপুল সংখ্যক অনুরাগীর ঢল + ছবি

13:02 - September 16, 2022
সংবাদ: 3472474
তেহরান (ইকনা): ইরাকের বিভিন্ন প্রদেশ সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে পবিত্র নগরী কারবালায় জিয়ারতকারী দ্বারা পরিপূর্ণ হয়েছে।

ইরাকে আসন্ন ঐতিহাসিক ২০ সফর তথা শহীদ-সম্রাট ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চেহলাম বা আরবাইন বার্ষিকীকে সামনে রেখে বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে মহানবীর (সা) আহলে বাইতের অনুরাগী কোটি কোটি শোকার্ত মুসলমানের সমাবেশ ও পবিত্র কারবালা অভিমুখী পদযাত্রা।

 

এ সমাবেশ বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ ও বৃহত্তম পদযাত্রা। চলতি বছর অন্তত ৮০টি দেশ থেকে অনুরাগীরা এরি মধ্যে ইরাকে প্রবেশ করেছেন।

 

ইমাম হুসাইনের কাফেলার পদযাত্রার স্মরণে ইরাক ও ইরানসহ বিশ্বের নানা দেশ ও অঞ্চল থেকে নানা যানবাহনে চড়ে এবং পদযাত্রার মাধ্যমে কোটি কোটি মুসলমান পবিত্র কারবালা জিয়ারতে আসছেন।

 

 

জিয়ারতকারীরা শনিবারে অনুষ্ঠেয় এই চেহলামকে সামনে রেখে  ইরাকের অন্যান্য ধর্মীয় শহরেও সমবেত হচ্ছেন। এমনই এক পবিত্র শহর হল নাজাফ আল আশরাফ যেখানে রয়েছে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর পবিত্র মাজার। এই শহর থেকেও বিপুল সংখ্যক জিয়ারতকারী প্রতি বছর ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের চেহলাম উপলক্ষে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে  কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ)'র মাজার জিয়ারত করতে যান।

 

এ বছরও নানা দেশের জিয়ারতকারী এই ঐতিহ্যবাহী পদযাত্রায় শরিক হতে সমবেত হয়েছেন পবিত্র নাজাফ শহরে। এই শহরে উপস্থিত বাংলাদেশি ড. আবদুল্লাহ বলছিলেন যে তিনি আগামীকাল নাজাফ শহর থেকে কারবালার দিকে রওনা দিবেন লাখ লাখ অনুরাগীর সঙ্গে!

 

কেনো ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের চেহলাম উপলক্ষে এ ধরনের সমাবেশ ও পদযাত্রার প্রথা মুসলমানদের মধ্যে চালু হয়েছে সে বিষয়ে ড. আবদুল্লাহ বলেন, বিষয়টি গভীর ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। কারণ ১২ জন মাসুম ইমামের মধ্যে একমাত্র ইমাম হুসাইনই (আ.) যুদ্ধের ময়দানে শহীদ হয়েছেন। শহীদ সম্রাট ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের কারণে তাঁর জন্য সব সময় মুমিনের অন্তরে উষ্ণতা থাকবে বলে মহানবী (সা) উল্লেখ করেছেন এবং তিনি (মহানবী-সা) আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি ইমাম হুসাইনের মাজার জিয়ারত করল সে যেন স্বয়ং আল্লাহকে জিয়ারত করল। 

 

ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের চেহলামকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বৃহত্তম এই ইসলামী সমাবেশ মানবজাতির শেষ ত্রাণকর্তা ইমাম মাহদির (আ.) আত্মপ্রকাশের পথ প্রশস্ত করবে বলে ইসলামী নেতৃবৃন্দ ও মুসলমানরা আশাবাদী। ড. আবদুল্লাহও এই মত পোষণ করেন বলে উল্লেখ করেছেন। 4085906

captcha