বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: শিয়া মাযহাবের দৃষ্টিতে এবং ইসলামী শিক্ষার ভিত্তিতে ইমাম হচ্ছেন সৃষ্টির সকল অস্তিত্বের মাঝে আল্লাহর রহমত পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যম। তিনি হচ্ছেন সৃষ্টিজগতের কেন্দ্রবিন্দু ও মানদণ্ড এবং তিনি না থাকলে পৃথিবী, মানুষ, জীন, ফেরেশতা, পশু ও জড়বস্তু কিছুরই অস্তিত্ব থাকবে না।
ইমামগণ সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ অস্তিত্ব হিসাবে সকল অস্তিত্বের কাছে আল্লাহর রহমত ও বরকত পৌঁছে দিবেন আর এক্ষেত্রে তার প্রকাশ্য ও অদৃশ্য অবস্থার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। হ্যাঁ প্রত্যেকেই ইমামের অস্তিত্ব থেকে লাভবান হয়ে থাকে এবং ইমাম মাহদী (আ.)-এর অন্তর্ধান তাতে কোন বাধার সৃষ্টি করে না। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, ইমাম মাহদী (আ.)-এর কাছে অদৃশ্যকালীন সময়ে আমরা কিভাবে লাভবান হতে পারি সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন:
و اما وجه الانتفاع بی فی غیبتی فکا الانتفاع بالشمس اذا غیبتها عن الابصار السحاب
আমার অদৃশ্যের পর আমার থেকে তোমাদের উপকারিতা হচ্ছে সূর্যের ন্যায় যখন তা মেঘের আড়ালে থাকে।
ইমামকে সূর্যের সাথে তুলনা করা এবং অদৃশ্যকে মেঘের আড়ালে থাকা সূর্যের সাথে তুলনা করার মধ্যে অনেক গভীরতা রয়েছে যা নিম্নে তুলে ধরা হল:
সৌরজগতে সূর্যের ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। তাকে কেন্দ্র করে অন্য সব গ্রহ অনবরত ঘুরছে। অনুরূপভাবে ইমাম মাহদী (আ.)ও সকল সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু।
এই সূর্য যদি মেঘের আড়ালেও না থাকে তাহলে অতি ঠাণ্ডা এবং বিদঘুটে অন্ধকারে পৃথিবী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। অনুরূপভাবে ইমাম যদি দৃষ্টির অন্তরালেও না থাকতেন তাহলে নানাবিধ সমস্যায় মানুষের জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়ত।
শেখ মুফিদ (রহ.)-এর কাছে লেখা ইমাম মাহদী (আ.)-এর একটি চিঠিতে শিয়া মাযহাবকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন: انا غیر مهملین لمراعاتکم و لا ناسین لذکرکم ذلک لترل بکم اللاواء و اصطلمکم الاعداء
আমরা কখনোই তোমাদেরকে তোমাদের উপর ছেড়ে দেই নি এবং কখনোই তোমাদেরকে ভুলে যাই নি। যদি তা না হত তাহলে তোমরা অনেক বালা- মুসিবতের সম্মুখীন হতে এবং শত্রুরা তোমাদেরকে ধ্বংস করে ফেলত।