বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: শাবান মাস রমজান মাসে প্রবেশ করার ভূমিকা, আল্লাহর আতিথ্যের মাসে প্রবেশ করার পূর্বে মু’মিনদের উচিত এই মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
অতএব আমাদের কর্তব্য হল মহান আল্লাহর সাহায্য কামনার মাধ্যমে আন্তরিকতার সাথে তাঁর নৈকট্য অর্জন করার জন্য পরিপূর্ণরূপে চেষ্টা ও সাধনা করা।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: যখন রাসূল (সা.) শাবান মাসের চাঁদ দেখতেন এক ব্যক্তিকে আদেশ দিয়ে বলতেন যে মদিনা বাসিদের কানে এ আহবান পৌঁছে দাও যে, আমি আল্লাহর রসূল (সা.)-এর পক্ষ থেকে এসেছি শাবান মাসের চাঁদ উদয়ের খবর তোমাদের নিকটে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং নবী (সা.)ও বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছেন: জেনে রাখ! শাবান মাস হচ্ছে আমার মাস, আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন যে এই মাসে আমাকে সাহায্য করবে অর্থাৎ রোজা রাখবে।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (আ.) বলেছেন: যখন থেকে রসূল (সা.)-এর আহ্বানকারীর এ আহবান শুনেছি যে; শাবান মাস আমার মাস আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন যে এই মাসে আমাকে সাহায্য করবে অর্থাৎ রোজা রাখবে। তখন থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত কোন দিন এই রোজাগুলি ত্যাগ করেনি।
২৫৫হিজরির ১৫ই শাবান ইরাকের সামেররা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন মহাকালের ত্রাণকর্তা তথা যুগের ইমাম হযরত মাহদী(আ.)। আর এ জন্যই মুসলমানরা এই দিনকে শবে বরাত(ভাগ্য রজনি) হিসাবে পালন করে থাকেন। এই দিনে রোজা রাখা এবং রাত জেগে ইবাদত বন্দেগী করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।