IQNA

ইমাম মাহদীর প্রতীক্ষাকারীদের জন্য মা ফাতিমার শিক্ষা

19:12 - February 02, 2019
সংবাদ: 2607848
মহানবীর ওফাতের পর মা ফাতিমা যে যুগে বাস করতেন তখন কোন নবী ছিলেন না, এবং তার যুগের ইমাম ছিলেন বঞ্চিত ও নির্যাতিত। আমরাও এমন যুগে বসবাস করছি যে যুগে কোন নবী নেই এবং যুগের ইমামও রয়েছেন অন্তর্ধানে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আমাদের জন্য মা ফাতিমার সব থেকে বড় শিক্ষা হচ্ছে তিনি ইমামত ও বেলায়াতকে গ্রহণ করা এবং তা রক্ষা করার জন্য জীবন উৎসর্গ করা।

মা ফাতিমা সকল নারী জাতির আদর্শ এমনকি সকল মানুষের জন্য আদর্শ। তিনি নিজেও বেলায়েতের অধিকারী হয়ে তার যুগের ইমামকে রক্ষা করার জন্য সব কিছু বিসর্জন দেন। তিনি নবীর কন্যা হয়েও ইমামকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন সবই করেন।

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: মহানবীর ওফাতের পর ৪০ দিন পর্যন্ত তিনি মুহাজির ও আনসারদের বাড়িতে গিয়ে বলতেন, তোমরা কি গাদিরে ঘুমের ঘটনা ভুলে গেছ, তোমরা কি রাসূল যে তার উত্তরাধিকারী রেখে গেছেন তার কথা ভুলে গেছ। এমনকি এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেন।

একদিন মদিনার মহিলারা মা ফাতিমার কাছে এসে বলল: আপনি কেমন আছে। মা ফাতিমা বললেন: اَصْبَحْتُ بَيْنَ كَمَدٍ وَ كَرْبٍ؛ বালা ও মুসিবতের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছি। কেননা فَقدِ النَّبِيّ وَ ظُلْمِ الْوَصِيِّ؛ মহানবীর ওফাত হয়েছে এবং তার উত্তরাধিকারীর উপর জুলুম হচ্ছে।

দোয়া ইফতিতায়ও এমনটি বর্ণিত হয়েছে: اللَّهُمَّ إِنَّا نَشْكُو إِلَيْكَ فَقْدَ نَبِيِّنَا وَ غَيْبَةَ إِمَامِنَا [وَلِيِّنَا হে আল্লাহ আমরা আপনার কাছে নালিশ জানাচ্ছি যে, আপনার নবী আমাদের মাঝে নেই এবং আমাদের ইমাম রয়েছেন অন্তর্ধানে।

মা ফাতিমার সময়ে নবী ছিলেন না আমাদের সময়ও নবী নেই। মা ফাতিমার সময়ে ইমাম মজলুম ছিলেন এবং আমর আমাদের সময়ে ইমাম অন্তর্ধানে রয়েছেন। আর একারণেই আমাদেরকে ইমাম মাহদীর প্রকৃত সৈনিক হওয়ার জন্য মা ফাতিমাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করতে হবে।

ঠিক এ জন্যই ইমাম মাহদী নিজেই বলেছেন: নবী কন্যা ফাতিমার মধ্যে রয়েছে আমার জন্য উত্তম আদর্শ। মা ফাতিমার জীবনকাল অতি সংক্ষিপ্ত হলেও তার মধ্যে রয়েছে সবার জন্য সব ধরনের উত্তম আদর্শ।

মা ফাতিমার থেকে আমাদের জন্য বড় শিক্ষা আল্লাহর দ্বীন এবং আল্লাহর হুজ্জাতকে রক্ষা করার জন্য আমাদের জান মাল সব কিছুই কোরবান করতে হবে।

সূরা তওবার ৪১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- انْفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ

জিহাদে বের হয়ে পড়, হাল্কা অবস্থায় হোক অথবা ভারি অবস্থায় এবং তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানতে।

আল্লাহর দ্বীন ও তার রাসূলকে রক্ষা কর সব কিছুর ওপর প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া এই আদেশ হচ্ছে একটি পরীক্ষা। এর মাধ্যমে প্রকৃত মুমিন মুসলমানদের পরিচয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।

captcha