ইউনোস্কো এর আগে সোফিয়ার বিষয়ে তুরষ্ককে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনা করতে অনুরোধ করেছিল। তুরষ্কের এ সিদ্ধান্ত দেশটির অর্থনৈতিক সং'কট সমাধানে প্রেসিডেন্টের কৌশল বলছেন বিশেষজ্ঞরা। জুনে পরিচালিত এক জরিপে তুরষ্কের শতকরা ৫৫ ভাগ মানুষ বলেন, অর্থনৈতিক সং'কট কাটিয়ে উঠতে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন 'সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নিয়ার ইস্ট পলিসির সোনার ক্যাগাপ্তে বলেছেন, তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ধর্মনিরপেক্ষ বিপ্লবের প্রত্যক্ষ বিরোধিতা করে এরদোগান তার ইসলামের ব্র্যান্ড চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এমন করেছেন। তিনি বলেন আতাতুর্ক ৮৬ বছর আগে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এটিকে যাদুঘরের মর্যাদা দিয়েছিলেন তেমনি এরদোয়ান ধর্মীয় বিপ্লবকে সামনে আনার জন্য আবারো মসজিদ ঘোষণা দিয়েছেন। সোফিয়াকে আবারো মসজিদ করে তোলা প্রমাণ করে যে পুনরায় দেশের হাল ধরার ইচ্ছা রয়েছে তার।
এদিকে এরদোগান এরই মধ্যে ইস্তাম্বুলে দুইট মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে পিছনে রেখেই তিনি এমন সি'দ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু ক্যাগাপ্তে বলছে, এই ঘোষণার পিছনে অবশ্যই কোন উদ্দেশ্য আছে।
অন্যান্য বিশেষ'জ্ঞদের সাথে ক্যাগ্যাপ্তে বিশ্বাস করেন যে এরদোগান এই ঘোষণার পরে যে তুরষ্কের চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বেকারত্বের হার কমিয়ে আনতে পারবেন। গেল বছর হাজিয়া সোফিয়া দেখতে ৩৭ লাখ মানুষ আসে তুরষ্কে। অনেকের মতে, এরদোগানের এই সিদ্ধান্ত পর্যটন শিল্পে মারাত্ব'ক প্রভাব ফেলবে।
সূত্র:mtnews24