সৌদি সুরক্ষা বাহিনী আল্লাহর ঘর জিয়ারতকারী এবং হাজিদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য প্রথমবারের মতো মহিলা পুলিশ মোতায়েন করেছে। সুরক্ষা বাহিনীর এমন পদক্ষেপের জন্য সামাজিক মিডিয়ার কর্মীগণ ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে পবিত্র কাবা ঘরের সামনে সুরক্ষা বাহিনীর এক মহিলা সদস্যের ছবি পোস্ট করেছে। ছবিতে দেখা গিয়েছে, সামরিক ইউনিফর্মে অবস্থানরত এক মহিলা পুলিশের সামনে ওমরাহ হজযাত্রীরা তাদের হজ অনুষ্ঠান পালন করছেন।
সামাজিক মিডিয়ার কিছু কর্মী মসজিদুল হারামের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য মহিলা পুলিশের উপস্থিতির প্রশংসা করেছেন। দলিল হিসেবে তারা মহিলা হাজিদের সুরক্ষার জন্য মহিলা পুলিশের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেছেন। তবে কিছু ব্যবহারকারী এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, মসজিদুল হারামের অভ্যন্তরে সামরিক ইউনিফর্মে মহিলাদের উপস্থিতি অনুপযুক্ত।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স কর্তৃক সামাজিক সংস্কার বলে অভিহিত নীতিমালার অংশ হিসেবে সৌদি মহিলাদের সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেবে বলেও জানিয়েছে।
এর আগে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সেদেশের নারীদের অধিক স্বাধীনতা প্রদান বিশেষ করে স্বামী বা বাবার সম্মতি ছাড়াই গাড়ি চালানো, খেলাধুলায় অংশ নেওয়া, ভ্রমণে যাওয়া, চাকরি করা এবং ব্যক্তিগত ব্যবসা চালু করার জন্য সরকারী আইন পাস করেছে।
অথচ এখনও কয়েক ডজন সৌদির মহিলা নাগরিক এবং আইনি কর্মী কারাগারে বন্দি আছেন এবং তাদের উপর অমানবিক নির্যাতনের প্রতিবেদনও ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, ক্রাউন প্রিন্সের আপাতদৃষ্টিতে সংস্কারবাদী পদক্ষেপগুলি সেদেশের বাদশাহ হওয়া এবং আমেরিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য করছে। সৌদি আরবে মানবাধিকার এবং নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের কারণে দেশটির শাসক আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ এবং ফোরামগুলি তীব্র সমালোচনার তীব্র সমালোচনার মুখে অবস্থান করছে। iqna