গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এটিই ছিল সর্ববৃহৎ জুমার জামাত। যারা মসজিদে প্রবেশ করতে পারেনি তারা শহরের আশপাশের রাস্তায় নামাজ পড়ে।
এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেমের ইসলামিক আওকাফ বিভাগ।
তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ‘আমাদের পরিসংখ্যান অনুসারে ইসরায়েলের কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও ২৫ হাজার মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়েছে। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর এবারই সর্বোচ্চসংখ্যক মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়তে সক্ষম হয়। তা ছাড়া সাড়ে চার মাস ধরে জেরুজালেম নগরীসহ পবিত্র মসজিদুল আকসার প্রবেশপথে ইসরায়েলি পুলিশ চেকপোস্ট স্থাপন করে রেখেছে।
এর মাধ্যমে তরুণদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে শহরের আনাচে-কানাচে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা।’ জুমার নামাজের পর শহীদদের জন্য গায়েবি জানাজা ও দোয়া করা হয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার শুরু থেকে মসজিদে প্রবেশে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। এতে শুধু চার-পাঁচ হাজারের মতো মুসল্লি মসজিদে নামাজ পড়তে পারত।
অন্যদের আশপাশের রাস্তায় নামাজ পড়তে হতো। গত সপ্তাহ থেকে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। অবশ্য অনেকের মতে, পবিত্র রমজান মাস অতি সন্নিকটে হওয়ায় মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলায় গত ১৩৪ দিনে ২৮ হাজার ৭৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ৬৮ হাজার ৫৫২ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি