বার্তা সংস্থা ইকনা: সমন্বিত ভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য ইরানের চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক মোর্তজা আতাশ যামযাম এবং ফটোগ্রাফি পরিচালক বাইরাম ফাজলী ঢাকাস্থ ইরানী কালচারাল অ্যাটাশে সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ মাহদী হোসেইনী ফায়েকের সাঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এই সাক্ষাৎকারে ইরান ও বাংলাদেশের সহযোগিতায় যে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ হওয়ার কথা রয়েছে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করেছেন মোর্তজা আতাশ যামযাম।
মোর্তজা আতাশ যামযাম বলেন: চলচ্চিত্র নির্মাণের এই প্রকল্পটি চালু করার জন্য বাংলাদেশের অভিনেতা, পরিচালক এবং চলচ্চিত্রের প্রধান বিনিয়োগকারী অনন্ত জলিল বেশ কয়েক বার ইরান ভ্রমণ করেছেন। এছাড়াও পরিচালক টিম চিত্রগ্রহণের প্রধান অবস্থান পরিদর্শনের জন্য লেবানন ও সিরিয়ায় গিয়েছেন।
তিনি বলেন: এই চলচ্চিত্রটির মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে ইরাক ও সিরিয়ায় তাকফিরিদের কার্যক্রম এবং চিন্তাধারা বিরুদ্ধে কাজ করা। ইরানী সিনেমা কর্মীদের পরামর্শে স্ক্রিপ্ট ও দৃশ্যকল্পের কিছুটা পরিবর্তন এবং সামঞ্জস্য করা হয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে, চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনেতাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে এবং পিছনে দৃশ্যগুলির (আলোকচিত্র কার্যক্রম ও স্পেশাল এফেক্ট …) জন্য ইরানী কর্মীদের কাজে লাগানো হবে। ইরানের সমন্বিত দল এবং বিজ্ঞ ফিল্ম নির্মাতাদের এই চলচ্চিত্রটি নিরীক্ষণের দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
ইরানী কালচারাল অ্যাটাশে সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ মাহদী হোসেইনী বলেন: ইরানী কালচারাল অ্যাটাশের কার্যক্রম হচ্ছে ইরান ও বাংলাদেশের মধ্যে কমনওয়েলথ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণ। বাংলাদেশী জনগণের মধ্যে ইরানি চলচ্চিত্র, অভিনেতা এবং পরিচালকগণ খুবই জনপ্রিয়। এই দেশের মানুষ ইরানী চলচ্চিত্র দেখতে খুব পছন্দ করে।
তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন: এই বিষয়ের উপর সকল কার্যক্রমকে আমরা স্বাগত জানাবো এবং সমর্থিত করবো।
ইরানী কালচারাল অ্যাটাশে সর্বশেষে এই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা দলের কার্যক্রম এবং এই প্রকল্পের সফলতার জন্য আশা ব্যক্ত করেছেন। ভবিষ্যতেও ইরান ও বাংলাদেশের সমন্বিত আরও অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রত্যাশা করেছেন।
iqna