বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসরাইলের আর্মি মুখপাত্র দাবি করেছে, গাজা উপত্যকা থেকে তেল আবিবে দু'টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর বোমা হামলা করা হয়েছে। জঙ্গিবিমান থেকে এসব বোমা ফেলা হয়।
আর্মি মুখপাত্র আরও বলেছে: গাজায় যে ১০০টি স্থানে বোমা বর্ষণ করা হয়েছে, সেগুলো হামাস আন্দোলনের ঘটির অন্তর্গত।
তবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরাইলি দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, গাজা থেকে তেল আবিবে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় নি।
হামাস আন্দোলন বলেছে: হামাস ও মিশরীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি জরুরি বৈঠক চলাকালীন সময়ে তেল আভিভে এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হামাসের কোন ভূমিকা ছিল না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র “আশরাফ আল-কুদরাত” গাজা স্ট্রিপে ঘোষণা করেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই হামলায় রাফাহ এলাকায় এক দম্পতি আহত হয়েছেন।
গাজায় অবস্থিত ইউরোপীয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিচালক মুহাম্মাদ আবু হেলাল বলেন: আহত এই নারী গর্ভবতী। তার অবস্থা আশংকাজনক।
গত কিছু দিন ধরে ভিত্তিহীন দাবি তুলে গাজায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইল। ২০১৭ সাল থেকে বিমান থেকে বোমা ফেলার প্রবণতা বেড়েছে।
২০০৬ সাল থেকে গাজার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদার ইসরাইল। গাজাবাসীদের জন্য স্থল, জল ও আকাশ পথ পুরোপুরি বন্ধ। এর ফলে গাজার মানুষ মারাত্মক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন করছে। iqna