ওসমান ইহাব আব্দুল করিম মিশরের আল-আজহার ইউনিভার্সিটির উসুলে দ্বীন অনুষদের আল-জাকাজিক শাখার প্রথম বর্ষের ছাত্র। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এই কিশোর ক্বারি কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন।
নিজের জীবন সম্পর্কে তিনি বলেন: আমি জন্মগতভাবে অন্ধ, কিন্তু আল্লাহ আমাকে কুরআনের প্রতি ভালোবাসা দিয়েছেন এবং তিনি’ই আমাকে কুরআন মুখস্থ ও তিলাওয়াতে সফল করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাকে কুরআনের বরকতে আমি যা চেয়েছিলাম তার থেকে অনেক বেশী দান করেছন। পবিত্র কুরআনের প্রতি আমার দৃষ্টিকে আলোকিত করেছেন এবং সুন্দর কণ্ঠ ও তিলাওয়াতের কারণে আমাকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছেন।
ওসমান বলেন: আমি ১৩ বছর বয়সে শুধুমাত্র শ্রবণ করে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছি। এজন্য আমার পিতা-মাতা এবং দাদা-দাদী আমাকে উৎসাহিত করেছেন। পরবর্তীতে আমার পিতা-মাত আমাকে স্থানীয় কুরআন স্কুলে কুরআন মুখস্থ করার জন্য নিয়ে যান। সর্বশক্তিমান আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি “হাফজ আজ আসিম” পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করেছি।
তিনি আরও বলেন: কুরআনের প্রতি তার ভালবাসার তীব্রতা থেকে, তিনি মিশরের “রেডিও কুরআন” শুনতে শুরু করেন এবং সেদেশের বিশিষ্ট ক্বারি বিশেষ করে মুহাম্মাদ সিদ্দিক মানশাওয়ি, শাইখ আবুল আইনাইন শায়িশা এবং শাইখ আবদুল বাসিত আবদুস সামাদ সহ অন্যান্য প্রসিদ্ধ ক্বারির তিলাওয়াত শুনতে শুরু করেন। এভাবে তিনি কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জন করেন।
মিশরের এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিশোর ক্বারির মনোমুগ্ধকর তিলাওয়াতের জন্য তিনি সবার নজরে পড়েছেন। আর এজন্য তাকে কুরআন তিলাওয়াত করার জন্য অনেক মাহফিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বর্তমানে তার ইচ্ছা রয়েছে মিশরের রেডিওতে কুরআন তিলাওয়াত করা, যাতে করে তার তিলাওয়াত বিশ্বের সকল মুসলমানেরা শুনতে পায়।
নীচে উসমান ইহাব আবদুল করিমের তিলাওয়াতের একটি ভিডিও দেখতে পাবেন। এই ভিডিওতে তিনি বাকারার ৩১ এবং ৩২ নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করেছেন।
قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ ﴿۳۱﴾
এবং তিনি আদমকে সমুদয় নাম শিক্ষা দিলেন, অতঃপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করে বললেন, ‘যদি তোমরা (তোমাদের দাবিতে) সত্যবাদী হও, তবে আমাকে এ সমুদয় নাম বলে দাও।’
قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْكَافِرِينَ ﴿۳۲﴾
(তারা (অপারগতার সাথে) বলল, আপনি সকল দোষ-ত্রুটি হতে পবিত্র, আপনি আমাদের যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ভিন্ন আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয় আপনি জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।’