বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি বলেন, আমেরিকার ভয়ঙ্কর নিপীড়নমূলক নীতির বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে হলে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করা মুসলমানদের অবশ্য পালনীয় কর্তব্যে পরিণত হওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
একইসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধুমাত্র বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হবে না বরং এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
ভাষণের একাংশে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইরান সৌদি আরবকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বলে মনে করে এবং আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চায়।
এর আগে আজ সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানে ৩২তম ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ শুরু হয়। এ বছরের ঐক্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘কুদস হোক (মুসলিম) উম্মাহর মধ্যে ঐক্যের মেরুদণ্ড।’ সম্মেলনে ১০০’রও বেশি দেশের ৩৫০ জন মুসলিম নেতা ও চিন্তাবিদ অংশগ্রহণ করছেন।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র পবিত্র জন্মবার্ষিকী বা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রতি বছর ইরানে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি জোরদার করার লক্ষ্যে মূলত ইরানের পক্ষ থেকে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।