IQNA

মিয়ানমার-ইসরাইল গভীর সম্পর্কের নথি প্রকাশ

0:02 - October 10, 2022
সংবাদ: 3472616
তেহরান (ইকনা): ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নথিতে ইসরাইল ও মিয়ানমারের (সাবেক বার্মা) মধ্যে গভীর সম্পর্কের বিষয়টি ওঠে এসেছে। তাছাড়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে নিধন চালিয়েছে সেটির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
ইসরাইলের গণমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের প্রকাশিত ২৫ হাজার নথিতে রয়েছে, ইসরাইল সেনাবাহিনী বার্মায় একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠনে সহায়তা করেছে, সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত করেছে এবং সামরিক শক্তিতে বলিয়ান থেকে উন্নত সামরিক সরঞ্জাম প্রদানে সহায়তা করেছে। সেই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে দেশটিতে কর্তৃত্ব বজায় রাখতেও সহায়তা করেছে।
 
নথিগুলোতে আরো রয়েছে, ইসরাইলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল অস্ত্র সহায়তার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মিয়ানমারের সমর্থন আদায় করা। নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কোনো ইসরাইলি প্রতিনিধি কখনও আপত্তি জানায়নি সেই সময়ের মধ্যে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে। প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইল ১৯৫০-এর দশকে বার্মার মারাত্মক গৃহযুদ্ধকে অস্ত্র বিক্রি বাড়ানোর জন্য একটি ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখেছিল।
 
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং বার্মিজ গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপনে ব্যাপক আগ্রহী ছিল ইসরাইলের শাসক গোষ্ঠী। পরবর্তীতেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি ইসরাইলের সমর্থনে কোনো পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যায়নি। তার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়, ২০১৯ সালের নভেম্বরে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর অভিযোগে হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা হয়েছিল সেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য ‘শুভকামনা’ জানিয়েছিলেন মিয়ানমারে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রনেন গিলর। ইসরাইল এসব সহায়তার মাধ্যমে মিয়ানমারে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করেছিল। সূত্র : হারেৎজ, প্যালেস্টাইন ক্রনিক্যাল।
 
 
   

 

captcha