গ্রেফতারের আশঙ্কায় আমিরাত থেকে পালিয়ে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন আলা। শনিবার লন্ডনের সড়ক থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, আরব দেশগুলোর প্রথিতযশা মানবাধিকার গ্রুপ আল কুস্তের নির্বাহী পরিচালক পদে ছিলেন আলা। অলাভজনক এই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানটি আমিরাতসহ গোটা আরব বিশ্বে জনগণের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে। এই অধ্যাপক আমিরাত রাজতন্ত্রের কড়া সমালোচক হিসেবেও পরিচিত।
আলার অকাল ও হঠাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মানবাধিকারকর্মীদের মাঝে। আল কুস্তের কর্মীরা তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
আল আল-সিদ্দিকের বাবা মোহাম্মদ সিদ্দিকও একজন স্বনামধন্য অধিকারকর্মী। ২০১৩ সাল থেকে তিনি আমিরাতে কারাবন্দি।
‘আজ আমিরাতের বিখ্যাত গবেষক ও সৎ অধ্যাপক আলা আল-সিদ্দিক দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তার বাবাও আমিরাতের কারাগারে বন্দি’—এক শোকবার্তায় বলেন সৌদি আরবের বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী আবদুল্লাহ আল আওদা।
দোহা নিউজের বরাত দিয়ে ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়েছে— আলা ও তার স্বামী ২০১২ সালে কাতারে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন। সেই সময় তারা সেখানে আত্মীয়ের বাসায় থাকতেন।
তার কাতারে অবস্থানের কারণে দেশটির সঙ্গে আমিরাতের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ২০১৮ সালে কাতারের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদাল রাহমান বিন জসীম আল থানি বলেন, আলা আল-সিদ্দিক সে দেশে অবস্থান করায় আমিরাতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। পরে আবুধাবি আলাকে তাদের হাতে তুলে দিতে কাতারকে চাপ দেয়। এমতাবস্থায় লন্ডন চলে যান আলা। কালের কণ্ঠ