তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানায়, রবিবার (২২ জানুয়ারি) পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ জানাতে স্থানীয় গির্জা কর্তৃপক্ষকে ফুল উপহার দেওয়ার কর্মসূচি পালন করেন মুসলিম তরুণরা। ফুল বিতরণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইবরাহিম খলিল বলেন, ‘সুইডেনে সংঘটিত হৃদয়বিদারক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন মুসলিম তরুণ হিসেবে আমরা চিন্তা করেছি কিভাবে এই ঘ্টনার প্রতিবাদ জানানো যায়। অতঃপর আমরা মুসলিম হিসেবে নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উপদেশ অনুসরণের চেষ্টা করি। আমরা গির্জা পরিদর্শন করে ফুল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিই; যেন আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও ভালোবাসা বিরাজ করে।’
গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুর্কি দূতাবাসের কাছে ডেনমার্কের কট্টরপন্থী ‘হার্ড লাইন’ দলের নেতা রাসমুস পালুদান পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় পবিত্র কোরআনের একটি কপি পুড়িয়ে দেন।
এদিকে তুরস্কের আর্মেনিয়ান চার্চ পবিত্র কোরআনের একটি কপি পোড়ানোর নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ জানায়, মুসলিম বিশ্বের কাছে পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানো পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং তা শুধু মুসলিমদের অনুভূতিকে আঘাত করে না; বরং সবাইকে অনুতপ্ত করে।
এ ধরনের কাজ বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের মধ্যে শত্রুতাকে উসকে দেয়। এমন ঘৃণ্য কাজ গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও দ্য কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্সের প্রধান শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এমন লজ্জাজনক কাজ বিশ্বের দেড় শ কোটি মুসলিমের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এ ধরনের কাজ পারস্পরিক বিবাদ, ঘৃণার বিকাশ ঘটায় এবং বিশ্বজুড়ে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের ইন্ধন জোগায়।’
এক বিবৃতিতে মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন ঘৃণ্য কাজের চর্চা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলে, ‘মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থের অবমাননার ঘটনা মুসলিমদের অনুভূতিকে চরমভাবে আঘাত করে। এ ধরনের উসকানিমূলক ঘটনা বারবার সংঘটিত হওয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শান্তি, আন্তর্ধর্মীয় সংলাপ এবং মুসলিমবিশ্ব ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে।’
সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির